লেখকঃ দীপাঞ্জনা মণ্ডল

‘রামচরিত্র মানস সরোবরের ন্যায় বিশাল। এর ভিতর রামকথারূপ হাঁস ঘুরে বেড়ায়।’ বাংলা সাহিত্যজগতের অন্যতম ইন্টেলেকচুয়াল শিল্পী সতীনাথ ভাদুড়ী ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ লিখতে গিয়ে যে বহুবিধ পাদটীকা ব্যবহার করেছেন তার প্রথমটিতেই পূর্বোক্ত উল্লেখটি পাওয়া যায়। সতীনাথ ভাদুড়ী প্রবাসী বাঙালি লেখক। ভারতের হিন্দি বলয়ের জনমানসে তুলসীদাসের রামচরিত মানসের গভীর প্রভাবের সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ সম্যক ধারণা তাঁর ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী, শুধু তাই নয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি এতটাই সমর্পিত ছিলেন যে নিজের পেশা আইনব্যবসা পর্যন্ত ত্যাগ করেন পূর্ণ সময়ের রাজনৈতিক কর্মী হবার তাগিদে। কাজ ও রাজনীতির সূত্রে বিহার প্রদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সুযোগ তাঁর হয়েছিল। সেই প্রান্তিকায়িত জনের মধ্যে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক ভাবনার কী প্রভাব তার বিশ্লেষণ সতীনাথের অন্তঃকরণে স্বাভাবিকভাবেই হতে থেকেছে। একদিকে রাজা ও রাজত্বের থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী প্রান্তের মানুষ ও তাদের নিজস্ব জীবনের ধাঁচ দেখছেন লেখক, অন্যদিকে নিজে যে রাজনৈতিক মতাদর্শে সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত ও প্রভাবিত তার প্রভাবের স্বরূপ বুঝতে চাইছেন ওই প্রান্তিক জনজীবনে।

ফলে একদিকে তিনি ভারতের প্রাচীন মহাকাব্যের দেশকাল অতিক্রমী প্রভাব, যা কিনা অবশ্যই ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজের একটি প্রকল্প, অন্যদিকে তাঁর সমকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গান্ধী – এই দুই তিনি একটি আখ্যানের মধ্যে বুনে দিতে পেরেছিলেন। কাজটি অত্যন্ত কঠিন ছিল সন্দেহ নেই। কিন্তু সতীনাথের শক্তিশালী মনন একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। গান্ধীর রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রামায়ণের দিকে তাঁর মনোযোগ টেনেছিল সহজে। আবার এও তিনি দেখেছিলেন যে রামায়ণের কী সর্বগ্রাসী প্রভাব লোকমানসে। ফলে সতীনাথ যে প্রকল্প নিয়েছিলেন তা যেমন আকর্ষণীয় তেমনই জটিল। তাঁর রাজনৈতিক সচেতনা স্পষ্ট ‘জাগরী’-তে। বিয়াল্লিশের আন্দোলন ও ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে সক্রিয় মধ্যবিত্ত পরিবারে তার প্রভাব এই উপন্যাসের আখ্যান। রাজনৈতিক ভাবাদর্শ মানুষের মধ্যে, এমনকি তারা একই পরিবারের হলেও, কী অনতিক্রম্য দূরত্ব নিয়ে আসে তা এই উপন্যাস দেখিয়েছে। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ সেরকম স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থানের আখ্যান না হয়েও গভীরতর রাজনীতির উপস্থাপক। এই রাজনীতি আবহমান মানব সমাজের রাজনীতি। তাই একদিকে তা ছুঁয়ে থাকে অতীতের রামকথা অন্যদিকে হাত ধরে তার সমকালের গান্ধীবাদের। এই বিপুল বিস্তারের জন্যই ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ হয়ে ওঠে বর্তমান ভারতের ধ্রুপদী মহাকাব্যিক উপন্যাস।

‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’-এর ঢোঁড়াই কতটা ঢোঁড়াই আর কতটা সতীনাথ নিজে তা তর্কসাপেক্ষ। তাৎমাটুলি, ধাঙড়টোলা, কোয়েরিটোলা যাবতীয় তাদের স্বরূপে যথাযথ উপস্থিত এই উপন্যাসে। কিন্তু উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ঢোঁড়াই বহিরঙ্গে তাৎমা হয়েও অন্তরঙ্গে লেখকের সঙ্গে একাত্ম। ঢোঁড়াই তাৎমাটুলির বলেই লেখক সহজে উপন্যাসকে সেই পরিবেশে রাখতে পারেন যেখানে রামচন্দ্র ও গান্ধীর প্রভাব দেখান তাঁর উদ্দিষ্ট।

সতীনাথ ভাদুড়ী (১৯০৬-১৯৬৫)

প্রান্তিক ভারতে রামকথার প্রভাব কতটা তা এই উপন্যাসের মাধ্যমে দেখা যায়। জীবনের নানা সংস্কার, রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রণ করে রামায়ণ। কথায় কথায় তুলসীদাসের রামচরিত মানসের পঙক্তি উদ্ধার করে এই অশিক্ষিত নিম্নবর্গের মানুষগুলো। হিন্দুদের বর্ণাশ্রম প্রথার অনুসরণে এদের মধ্যেও রয়েছে ভেদাভেদ। যে ব্রাহ্মণ্যবাদ এদের জল-অচল করে রেখেছে তার বিভেদরেখাগুলি এরা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। ধর্মের এই প্রভাব ভারতের জনজীবনে অত্যন্ত গভীর। বর্ণহিন্দুদের কাছে অচ্ছুৎ এই মানুষগুলোর কাছে আবার মুসলিম ও খ্রিস্টানরা পরিত্যাজ্য; তাদের নিচু নজরে দেখে এরা। ভারতের বর্ণভিত্তিক সমাজের কাঠামো উপন্যাসে প্রখরভাবে দেখিয়েছেন সতীনাথ। ফলে এটি ভারতের এক সনাতন চরিত্র দেখিয়েছে।

লৌকিকের থেকে অলৌকিকে বেশি বিশ্বাস ধর্মভীরু ভারতবাসীর। ফলে এই রাজনৈতিক নেতাও এখানে বাস্তব যুক্তিবোধের তুলনায় অলৌকিকত্বের আরোপে বেশি জন-নৈকট্য লাভ করেন। গান্ধীর ক্ষমতা সম্বন্ধে প্রান্তিক ভারতবাসী পরিতোষলাভ করে তখন, যখন বিলিতি কুমড়োর গায়ে গান্ধীর মুখের আদল ফুটে ওঠে। বলা বাহুল্য এখানে লেখক একদিকে যেমন লোকচরিত্রকে নির্ভুল পাঠ করেছেন তেমনই কোথাও যেন এক পরিহাসও রেখে গেছেন। যে অন্ত্যজ ভারতের উদ্ধার দেশনেতাদের লক্ষ্য, তাদের কাছে নেতারা পৌঁছচ্ছেন অন্ধত্বের মাধ্যমে। উপন্যাসটি এক শাশ্বত সত্য সামনে আনে, ভারতের আপামর জনগণের কাছে রাজনীতি প্রকৃত অর্থে আজও অপ্রকাশিত। দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষের কিছু যায় আসে না। কিন্তু মানুষ যেহেতু জন্মসুত্রেই রাজনৈতিক প্রাণী, তাই তাৎমাটুলির অন্দরমহল রাজনীতি-বিচ্ছিন্ন নয়। সেখানে মাহাতো ও ছড়িদারের ভকত হতে চাওয়া, ষড়যন্ত্র করে ঢোঁড়াই-এর বিয়ে ভাঙা সবই রাজনীতির অঙ্গ।

উপন্যাসের প্রথম চরণে ঢোঁড়াই একটি গোষ্ঠীর অন্তর্গত। সে পৃথক, কিন্তু কিছু নিয়মে বাঁধা। ফলে দেশের রাজনীতির প্রভাব তার ওপরে খুব প্রবল নয় তখনও। তার সমাজের রাজনীতি তাকে তার আজন্মের শিকড় ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়তে বাধ্য করে। তার স্ত্রী রামিয়া পশ্চিমের মেয়ে, স্বাধীনা ও তাৎমাটুলির অন্যান্য মেয়েদের মতো নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়। ফলে তাকে ঢোঁড়াই-এর থেকে আলাদা করে ফেলা যায় সহজে। স্ত্রী-জাতির ওপরে স্বভাববিরক্ত পুরুষদের একজন ঢোঁড়াই-এর পৌরুষে রামিয়ার স্বেচ্ছাচার সন্দেহ রোপণ করেছিল, এখন সমাজের পঞ্চায়েতিতে তা উভয়ের মধ্যে স্থায়ী দেওয়াল তুলে দেয়। পিছুটানশূন্য ঢোঁড়াই ছেড়ে যায় তার সমাজ। উপন্যাসের দ্বিতীয় চরণে ঢোঁড়াই তার সমাজের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিসকান্ধার কোয়েরিটোলায়। সেখানে থাকতে থাকতে ঢোঁড়াই দেশের বড় চিত্রটিকে ক্রমশ প্রকাশিত হতে দেখে। সেখানে গান্ধীর লোক সুবিধেবাদী, সুযোগসন্ধানী ও দুর্নীতিগ্রস্থ। সরকারি ত্রাণের উপযুক্ত বণ্টন হয় না। দুর্গতদের পরিবর্তে সমাজের অর্থশালী ব্যক্তিদের ঘরে ঢোকে সমস্ত সরকারি জিনিস।

নতুন পরিবেশে ঢোঁড়াই ধীরে ধীরে একজন চোখ-কানওয়ালা মানুষ বলে পরিচিতি পায়। প্রচলিতের বাইরে হাঁটার অভ্যেস তার ছিলই। তাই তাৎমাদের নিয়ম ভেঙে সে ধাঙড়দের সঙ্গে ‘পাক্কীর’ কাজে যোগ দিয়েছিল। কোয়েরিটোলায় থাকতে থাকতে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিয়ে ঢোঁড়াই জেলে যায়। সেখানে তার হাতে আসে একটি রামায়ণ। বইটির প্রতি তার আত্যন্তিক আগ্রহের কারণে জেলে তার নামই হয় রামায়ণজী। গান্ধী চাইছেন রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে আর দেশের মানুষ রামায়ণের কাহিনি থেকে খুঁজে ফিরছে তাদের দৈনন্দিন জীবনজিজ্ঞাসার উত্তর। এরকম জায়গায় ঢোঁড়াই তার তাৎমাটুলির এক ছেলেকে সঙ্গী পেয়ে রামিয়ার কাছে ফিরে আসবার তাগিদ অনুভব করে।

ঢোঁড়াই ফিরতে চায় তার শিকড়ে। কিন্তু সেখানে কেবলই মায়াসীতার মরীচিকায় হারিয়ে যায় তার স্বপ্ন। ঢোঁড়াই সমস্ত অভিমান ভুলে তার রামিয়া আর রামিয়ার সন্তানের কাছে ফিরতে চেয়ে জানতে পারে রামিয়া মৃত সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা গেছে। যে ছেলেকে তার রামিয়ার সন্তান বলে তীব্র স্নেহ অনুভব করেছিল সে, সেই অ্যান্টনি আসলে তার আর রামিয়ার বিচ্ছেদের কারণ সামুয়েরের সন্তান। আর একবার সব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে ঢোঁড়াই। এবার এমনকি ফেলে যায় তার পরম আদরের আশ্রয় রামায়ণটিও।

সতীনাথের উপন্যাসে ঢোঁড়াই-এর যে গৃহত্যাগ ও পথচলা তা মনে করিয়ে দেয় ‘কবি’, ‘পথের পাঁচালি’, ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’, ‘রহু চণ্ডালের হাড়’ ইত্যাদি উপন্যাসের কথা। ‘কবি’ উপন্যাসের শেষে নিতাই-এর কাছে যেরকম হঠাৎ উঠে আসে ঠাকুরঝির মৃত্যু সংবাদ, তেমনই রামিয়ার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছে ঢোঁড়াই। কিন্তু ‘কবি’ উপন্যাস তার পরিসরে কেবল এক ব্যক্তিসত্ত্বার রোম্যান্টিক আততিকেই ফুটিয়ে তুলেছে, যেখানে ঢোঁড়াই-এর সংকট আরও গভীরে। ঢোঁড়াই-এর সামাজিক বন্ধন অনেক আগেই কেটেছিল, ক্রমশ আশাভঙ্গ হচ্ছিল দেশ সম্পর্কে; কিন্তু উপন্যাসের শেষে তার পারিবারিক সংলগ্নতার সম্ভাবনা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। অর্থাৎ বিদ্রোহী ঢোঁড়াই-এর সারাজীবনের সন্ধান শূন্যতায় পর্যবসিত হয়। ‘পথের পাঁচালি’ যখন ‘অপরাজিত’-র পরিণতি পায় তখন অপু তার সন্তান কাজলের মধ্যে খুঁজতে পারে তার সার্থকতার বা অস্তিত্বের ইতিহাস; সেখনে ঢোঁড়াই নিঃস্ব। ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’-র করালী শেষ পর্যন্ত লড়াই জারি রেখেছে, প্রথমত সে কখনই গোষ্ঠীকে বর্জন করতে চায়নি, ফিরে ফিরে এসেছে তার সমাজে। সেখানে তাই সে আবার করে চেষ্টা করতে পারে নিজেকে স্থাপ্নার। ‘রহু চণ্ডালের হাড়’-ও প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে যায় পথচলাকে।

ঢোঁড়াই একক। এখানেই তার সংকট ব্যক্তিসত্ত্বার এই সংকট আধুনিক ও আবহমানের। যা কিছু স্রোতের বিপরীতের তাকে সব সময়েই বিরুদ্ধতার মোকাবিলা করতে হয়। এখন রাজনীতি এই বিরুদ্ধতার সাপেক্ষে কিছু প্রতিষ্ঠার সপক্ষে কাজ করে। সেটা পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সমানভাবে সত্যি। রামায়ণের যে উত্তরাধিকার এ দেশের মানুষের মনে তাতে আদর্শের থেকে আচার অনেক বেশি। গান্ধী তাকে একটি রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্র সাপেক্ষে সেই চেষ্টা যেমন প্রার্থিত রূপ পায়না, তেমনই রামায়ণ ও গান্ধী নির্ভর ঢোঁড়াই-দের নিয়তিও অপরিণতির গন্তব্যে নির্দিষ্ট হয়ে যায়। ঢোঁড়াই ব্যতিক্রমী, সে অন্যরকমভাবে ভাবতে পারে। স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়ে বিচারের ক্ষমতাও তার আছে। অথচ তার জীবনের খাতা শূন্যতায় পূর্ণ হয়ে থাকে। রামায়ণ অথবা রামরাজ্য দূরে থাক তার একান্ত গৃহলক্ষ্মীর কাছেও আশ্রয় জোটে না তার।

বাল্যেই ঢোঁড়াই হারিয়েছিল মায়ের আশ্রয়। নিজের জীবন নিজের হাতে গড়েও সমাজের চক্রান্তের কাছে হারতে হয়েছিল তাকে। লড়াই ছাড়েনি সে। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ব্যক্তি মানুষ আসলে তো কোথাও সু-বোধ্য হয়ে উঠতে পারে না হাজার চাইলেও। তাই অ্যান্টনির মায়ের উঠোনে রামায়ণ ফেলে যাওয়া নিয়ে ঢোঁড়াই-কে ঘিরে বহু ব্যাখ্যা তৈরি হয়, যাদের যুক্তিক্রমে কোনও ফাঁক নেই অথচ যারা কেউই সত্যের কাছে নয়। এই নিয়তি মেনেই পথ চলতে হয় একলা মানুষকে, পথ চলেছে ঢোঁড়াই-ও। সতীনাথ দেখছিলেন এদেশের মানুষের দেশের আশ্রয় নেই, নেই সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের মানসিকতা। সুতরাং এর উত্তরাধিকার রক্ষিত হওয়া অবশ্যই সহজসাধ্য নয়। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ তার অনেক মাত্রা ও আখ্যানের পরতের মধ্যে দিয়ে দেশ সম্ভূত, দেশ নির্ভর অথচ দেশ বিচ্ছিন্ন সেই সাধারণের কথা বলে; তার আত্মিক সংকট ও তার উপলব্ধি অবশ্য কতটা সেই প্রান্তিকের এ প্রশ্ন থেকে যায়। তবু সামগ্রিক ভাবে দেখলে দেশ-কালের যে বিরাট প্রেক্ষিতে ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ গড়ে ওঠে তাতে তার সনাতনী হয়ে ওঠায় কোনও ফাঁক থাকে না।


……………………..
প্রবন্ধটি সাপ্তাহিক অনলাইন পাঠচক্র ‘খাপছাড়া আড্ডা’য় পাঠ করা হয়।

Leave a Comment