লিখেছেনঃ দূরের পাখি

রাতের আকাশের তারা গুনে হয়তো শেষ করা যাবে , কিন্তু এই জীবনে কতবার প্রেমের কাউন্সেলিং করতে গিয়ে ‘ওর জন্য আমি এমন কিছু করতে বাদ রাখি নাই, কলিজা কেটে ভুনা করে পর্যন্ত খাওয়াইছি, তারপরও এমন অকৃতজ্ঞের মত, নিষ্ঠুরের মত অন্যের হাত ধরে চলে গেছে ‘ ; এই কথা শুনেছি তা গুনে শেষ করা যাবে না । প্রথম প্রথম প্রতারিত ও সর্বশান্ত প্রেমিক প্রেমিকার এইসব কথা শুনে বিহ্বল হয়ে যেতাম । জীবন ও প্রকৃতির এবং মানুষের নিষ্ঠুরতার, হঠকারীতার অকৃতজ্ঞতার এইসব উপাখ্যান কোনভাবেই বুঝে উঠতাম না । আর কতখানি করলে, আর কতখানি নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়ে ভালোবাসলে অন্য পক্ষের কাছ থেকে একটুখানি ফিরতি ভালোবাসা পাওয়া যাবে, অথবা এর চাইতে বেশি কি কোন মানবের পক্ষে করা সম্ভব এইসব প্রশ্ন এলোমেলো করে দিতো ।

সময়ের স্রোতে নিজের ভিতরে একটু আধাখ্যাঁচড়া ধরণের নির্বাণের ভাব এলো গুপ্তকেশ পরিপক্ক হয়ে বিদ্যুত পরিবাহী পদার্থে পরিণত হওয়ার সাথে । প্রেমের আরো একপরত গভীরের ভাবসমূহ মনে হলো কিছুটা বুঝে উঠলাম । এখন কোনো ব্যর্থ প্রেমিক বা প্রেমিকার মুখে এই ধরণের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবাসার কথা শুনলে বরং সুতীব্র মুত্র-ত্যাগের বেগ আসে । ভগ্নহৃদয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হয়তো এমন কথা বলা যায় না বলে চেপে রাখি, তবে ভিতরে ভিতরে চিৎকার উঠে, ভাই-আফা থামেন, তিষ্ঠেন ক্ষণকাল । এইমত সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ভালোবাসাটা আপনার এমন কোন বিশ্বপ্রেমিক মনের পরিচায়ক অথবা মহানুভবতার অথবা প্রেমের অনন্তসলিলা হৃদয়ের চিহ্ন নয় । এটা নিতান্তই প্রেম ও প্রজনন উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য আপনার একটা কৌশলগত অবস্থান (strategic stance) । আপনার কৌশল ছিলো অপরপক্ষকে অপরাধবোধের ফাঁদে (guilt trap) ফেলা । আপনার সর্বস্ব দিয়ে ফেলে আপনি এমন কোন আলু-কলা সাধন করেন নাই । একটা কৌশল নিয়েছিলেন সেটা ব্যর্থ হয়েছে । ঘটনা এতটুকুই ।

আরসব সামাজিক জীবের মত মানুষেরও বিকাশে শক্তি, বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য্য, ক্ষিপ্রতা এসবের চাইতেও বড় বেশি যেই গুনটি তার মধ্যে থাকতে হয় তা হচ্ছে সমাজের মধ্যে থাকার মত দক্ষতা । যে মানুষ কোন না কোন একটা সমাজে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে, সে অন্যদের তুলনায় শক্তিতে বুদ্ধিমত্তায় সৌন্দর্য্যে বা ক্ষিপ্রতায় হাজার গুন শ্রেয়তর হলেও তার নিশ্চিত পরিণতি বেঘোরে মৃত্যু । এই পরিণতি এড়ানোর জন্য তাকে শক্তিতে বুদ্ধিমত্তায় সৌন্দর্য্যে ক্ষিপ্রতায় নীচুতর মানুষের কাছেও সময়ে সময়ে নিজের দম্ভকে পরিহার করে সাধারণ কিছু নীতিমালা মানতে হয় । দানবীয় শক্তিতে সহ-শিকারী তিনজকে সে গুঁড়িয়ে দিতে পারলেও বারবার একই কাজ করে পার পাবে না জেনে তাকে কিছুটা অনিচ্ছাস্বত্তেও শিকারের ফলাফল ভাগাভাগি করে নিতে হয় দুর্বলের সাথে । সবল দুর্বল নির্বিশেষে সমাজে টিকে থাকার জন্য একসাথে চলার জন্য এইসব ছোটছাট নিয়ম ও ত্যাগের মিলিত রুপই নৈতিকতা ও আচার আচরণের নিয়মাবলী । এই সামাজিক নৈতিকতার একটি অনুষংগ হচ্ছে এক সময়ের উপকার মনে রেখে অন্য সময়ে সেটার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা । কৃতজ্ঞতাবোধ । অন্যায়ভাবে দুর্বলের সম্পদ কেড়ে না নেয়া সহ আরো হাজারো মানবিক সামাজিক নৈতিকতাবোধের মত কৃতজ্ঞতার বোধও তাই সামাজিক জীবের মজ্জায় ঢুকে গেছে লাখ লাখ বছরের সামাজিক বিবর্তনে ।

অন্য জীবের মজ্জাগত বা প্রবৃতিগত (Instinct) বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে তাকে শিকার করা জীবজগতে এমন কোন অভুতপূর্ব ঘটনা নয় । সচেতনভাবে বুঝে অথবা প্রবৃতিগতভাবে অবচেতনে এই কাজ করে উদরপূর্তি করে চলছে হাজার হাজার প্রজাতি । প্রেম ও প্রজননের বাজারে সাথে শিকারের বাজারে খুব একটা বৈসাদৃশ্য নেই । সুপুষ্ট কেঁচোর প্রতি মাছের লোভকে কাজে লাগিয়ে যেমন বড়শিতে তাকে গেঁথে নেয়া যায় তেমনি আজ একবেলা পেট পুরে খাইয়ে কাউকে দিয়ে আগামীকাল দুইবেলার সমপরিমাণ কাজ করিয়ে নেয়া যায় । গতকালের দানের কথা মাথায় থাকায় আজকের অন্যায় আবদারের মুখে সে তেমন কিছু বলতে পারে না । প্রেমের বাজারেও আপনার সচেতন মন স্বীকার না করলেও আপনার অবচেতন তেমন ফাঁদ পাততে গিয়েই নিজের স্বর্বস্ব বিলিয়ে দেয় ভালোবাসার জন্য । আপনার হয়তো রুপে বা দক্ষতায় বা অন্য কোন কিছুতে এমন কিছু নাই যা দিয়ে আপনি প্রাকৃতিকভাবে তাকে আকৃষ্ট করতে পারেন । সেজন্যই এই ভিন্ন চেষ্টা । আপনার কাছ থেকে এতখানি বৈষয়িক সাহায্য, এতখানি প্রশ্রয় পাওয়ার পর প্রজনন সংগী হিসাবে আপনার আবেদনহীনতার কথা চিন্তার প্রান্তে আনতেও তার সামাজিক-বিবর্তিত মস্তিষ্ক অপরাধবোধে ভুগবে । এই বিস্তারিত ফাঁদ পাতার জন্যই আসলে আপনার সমস্ত বিলিয়ে দেয়া । অন্য কোন মহৎ চুলচামড়ার জন্য নয় ।

আপনার ভগ্নহৃদয়ের একাংশ হয়তো তারপরও এই কৌশলের এই অপরাধবোধের ফাঁদের তিক্ত সত্যকে মেনে নিলেও পুরোপুরি আলোকিত হতে পারে না । আপনি হয়তো এর পরেও মনে করতে পারেন , হোক না হয় কৌশল তারপরওতো এই কৌশলতো অন্তত মহান মনের, প্রেমের অনন্তসলিলারই চিহ্ন । আর যাই হোক জোর করে বা অন্যায় কোন উপায়তো আপনি অবলম্বন করেন নাই । যেটুকু দিয়েছেন তা তো একেবারেই খাঁটি হৃদয় নিংড়িয়ে দেয়াই । না, তাও ঠিক নয় । আপনার এই সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়ার কৌশল আপনার খাঁটি হৃদয়ের চিহ্ন নয় । এ হচ্ছে আপনার অলসতার চিহ্ন । আপনার অবস্থান থেকে সবচে অলস, সবচে কম পরিশ্রমের সবচে সহজ যে কৌশলটি ছিলো আপনি সেটিই বেছে নিয়েছেন । প্রজননের বাজারে ভালো সংগী পাওয়ার জন্য আপনি আত্নোন্নয়ন করতে পারতেন, নিজেকে পরিবর্তন করতে পারতেন, নিজেকে অন্যের অবস্থান থেকে আকর্ষণীয় মনজিল হিসাবে গড়ে তুলতে পারতেন । অথবা একেবারে কমপক্ষে অসহ্য উপেক্ষার অনুভুতি নিয়ে অপেক্ষা করতে পারতেন আপনার অবস্থানে সামঞ্জস্যপূর্ণ কেউ আসতে পারে তার জন্য । এর যেকোন একটির জন্যই আপনাকে একটা বড়সড় বাঁধা অতিক্রম করতেই হতো । হয়তো নিজেকে উন্নয়ন, হয়তো সংগীর সাথে সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন এমন কোন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলা, নিজেকে আগ্রহী করে তোলা অথবা নিজের মনকে আলোকিত করে স্থিতধী হয়ে অপেক্ষা করা । এগুলোর সবগুলোতে কষ্ট আছে, অনিশ্চয়তা আছে, নিজেকে অতিক্রম করে যাওয়ার দীর্ঘ ক্লান্তিকর নিষ্ঠার প্রয়োজন আছে । আপনি সেই পথে যান নি । গিয়েছেন সবচে সহজ পথে । নিজের যা কিছু আছে সেগুলো বিলিয়ে দিয়ে আকর্ষণের জন্য নয় কেবল অপরাধবোধে ভুগে সে আপনার সাথে প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ করবে সেই আশাতে ।

এখন উল্টো দিক থেকে ভেবে দেখুন এত কিছু বিলিয়ে দেয়ার পরেও সে কেনো অন্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে । কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতে করে, এমন কারো সাথে যে আপনার তুলনায় স্বার্থপর ও নীচ মনের এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে অসুন্দর ও অযোগ্য । প্রেমকে কেবল চামড়ার উপর থেকে দেখলে এ বিষয়কে খুবই বিহ্বল করে দেয়া একটা ব্যাপার মনে হবে । মনে হবে তার পক্ষ থেকে নিতান্ত নির্বোধের মত আচরণ । কিন্তু প্রেমের রাংতামোড়ানো জ্বলজ্বলে আবরণটি তুলে নিলেই দেখা যাবে এ আচরণ কেবল স্বাভাবিকই নয় অনেক ক্ষেত্রেই অবশ্যাম্ভাবী । একেতো মানুষ এমনিতেই দানের পাহাড়ের নীচে চাপা পড়ে থাকতে অস্বস্তিবোধ করে , তার উপর আপনার নিজের মূল্য আপনি এমন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন যা অন্য পক্ষের ভিতরে সন্দেহ ছাড়া অন্য কোন বোধের জন্ম দেয় না ।

গুলিস্তানের বা পৃথিবীর অন্য যেকোন প্রান্তের ফুটপাতের বাজার থেকে দর-কষাকষি করে কিছু কেনার অভিজ্ঞতা থাকলে ব্যাপারটা খুব পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় । নিতান্ত খেয়ালে হয়তো সানগ্লাস বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলেন দাম কত , দোকানি বলো দুই হাজার টাকা । আপনি জানের এইসব বাকোয়াজ । আপনিও তাচ্ছিল্য করে বললেন দেড়শ টাকা দিবেন ? দোকানি বললো ঠিকাছে নেন । আপনিও এখন বাধ্য হয়ে নিয়েই নিলেন । নিয়ে নেয়ার পরে আপনার অনুভুতি কিরকম ? স্বাভাবিক মানুষ হলে আপনার নিশ্চয়ই তিক্ত এক ধরণের বোধ হওয়ার কথা । ধুর, পুরো দেড়শ টাকাই হয়তো জলে গেলো । আপনার মনে হতে থাকবে রাস্তার পাশের ময়লার পলিথিনের দামও হয়তো এর চাইতে বেশি । নাহলে দুই হাজার টাকা দাম চাওয়া জিনিস দেড়শ টাকায় সাথে সাথে দিতে রাজী হয়ে গেলো কেনো । মানুষের প্রেম ও প্রজননের বাজার দ্বিপাক্ষিক । গড়পড়তা মানুষ বাজারে নিজের মূল্য সম্পর্কে মোটামুটি পরিষ্কার ধারণা রাখে । অন্য পক্ষের কাছ থেকে অস্বাভাবিক বেশি দাম যেমন সন্দেহের তৈরী করে, তেমনি অস্বাভাবিক নিচু দাম চাওয়াও সন্দেহ এবং অন্তর্গত অসন্তুষ্টির তৈরী করে দেড়শ টাকার সানগ্লাসের মত । এখানে সত্যিকারে দামের ভূমিকা আসলে সামান্য । দেড়শ টাকার সানগ্লাস বিক্রি করা দোকানীর হয়তো ভিতরে অন্য কাহিনী আছে । হয়তো সে তার পসরার উপর লাভ এরই মধ্যে করে ফেলেছে , বাকী যে কয়টা আছে সেগুলো বিনামূল্যে দিয়ে দিলেও তার লস নাই । হয়তো সে লটারীতে কোটি টাকা পেয়ে গেছে একটু আগেই এখন এই হাতের জিনিসগুলো কোনরকমে ছেড়ে দিয়ে সে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে । হয়তো সে চোরাই বাজার থেকে ব্র্যান্ডের জিনিস নিয়ে এসেছে যার আসল দাম অনেক বেশি কিন্তু তার কাছে খুবই কম । এসব সম্ভাবণার কথা মনে করে একটু সময়ের জন্য স্বান্তনা বোধ করলেও , নিরানব্বই ভাগ সম্ভাবণা যে আপনি পুরো টাকাটাই জলে ফেলেছেন এই বোধ আপনাকে স্বস্তি দেবে না ।

নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে নিজেকে অস্বাভাবিকভাবে কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে আপনি আপনার সংগীকে এই বার্তাই দিয়েছেন যে আপনাকে যত তুচ্ছ দামেই কেনা যাক না কেনো, সেই তুচ্ছ অংশটুকুই লস । এত অল্প দামের কিছু নিয়ে সে গর্বও করতে পারে না । গর্ব করার মত বোধ না থাকলে প্রেম ঠিক কোথা থেকে আসবে সেটা আমার জানা নাই । এজন্যই আপনার চাইতেও নীচু কারো সাথে সে চলে যাচ্ছে । সত্যিকারের মূল্য যাই হোক না হোক তার মানসিক শান্তি সে পাচ্ছে যে সে যথোপযুক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ।

নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে অপরাধবোধের ফাঁদ পাততে গিয়ে আপনি আরেকটি উদ্ভট প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিচ্ছেন আপনার সংগীর ভিতরে । আপনাকে তিনি অনেকটা জড়বস্তু ভাবতে শুরু করেছেন । জড়বস্তুর কি ধরণের গুন আছে ভেবে দেখুন । আপনার খাতা , আপনার কলম, আপনার টেবিলচেয়ারবিছানাবালিশের সাথে আপনি কেমন আচরণ করতে পারেন ? খাতার পৃষ্টা ছিড়ে ফেলতে পারেন, ছিঁড়ে পোড়াতে পারেন, পোড়ানো ছাই নদীর জলে ভাসিয়ে দিতে পারেন । মোট কথা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন (অন্য মানুষের ক্ষতি ছাড়া) । এখন মানুষ আপনি যদি সংগীকে আপনার সর্বস্ব বিলিয়ে দেন, তার যেকোন আবদারে সম্মতি দেন, যেকোন বিষয়ে প্রশ্রয় দিতে থাকেন, তার অবচেতন মন ধীরে ধীরে আপনাকে ব্যক্তি থেকে বস্তুতে নামিয়ে নিয়ে আসবে । এটা তার ভিতরের গভীর কোন পশুত্ব বা অন্ধকারের কারণে নয় । নিতান্তই মানবিক বৈশিষ্ট্য এটা । মানব শিশু বাইরের দুনিয়াকে ব্যক্তি ও বস্তুতে আলাদা করতে শেখে এভাবেই । যে জিনিস কোন কিছুতে বাঁধা দেয় না সেটা বস্তু, আর যে জিনিস কিছু কিছু আচরণ মেনে নেয় কিছু কিছু আচরণে দাঁতমুখ খিচিয়ে আসে সেটা প্রাণী , প্রাণীদের মধ্যে আরো সাবধানে আচরণ করতে হয় যাদের সাথে তারা হচ্ছে ব্যক্তি । আপনার সমস্ত মেনে নেয়ার, সমস্ত বিলিয়ে দেয়ার আচরণ তার এই বয়স পর্যন্ত শিখে ব্যাপারকে কিছুটা ব্যতিক্রমের ধারণা নেয় । অন্য মানুষকে পর্যন্ত সে হয়তো বস্তুতে পরিণত করে না , কিন্তু আপনাকে সচেতনে না হোক, অবচেতনে, পুরোপুরি না হোক কিছুটা বস্তুর মতই ব্যবহার করতে থাকে তার মন । বস্তুর প্রতি যেমন মানুষের আলাদা কোন সম্মান থাকে না, আলাদা কোন দীর্ঘমেয়াদি অনুরাগ থাকে না, তেমন করেই আপনার প্রতি তার কোন সম্মান থাকে না । সম্মান না থাকলে, বিশেষ যত্নের ব্যাপার না থাকলে আপনাকে সে সংগী হিসাবে চাইবে কেনো ?

…………..
অনলাইন পাঠচক্র খাপছাড়া আড্ডায় পঠিত।

Leave a Comment