প্রবন্ধফেসবুকের লেখালেখিবাংলাদেশ

ইয়াবা-ফেনসিডিলের ভয়াবহতা কমাতে বাংলাদেশে এ্যালকোহল উন্মুক্ত করা আবশ্যক কি?

গতকাল ফেসবুকে একটা জিজ্ঞাস্য পোস্ট দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ইয়াবা ও ফেন্সিডিল আসক্ত, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রায় একই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাস করেও কেন এসব নেশায় তেমন একটা আসক্ত নয়, এটাই ছিল আমার জানতে চাওয়।

পোস্টটিতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। বেশিরভাগ মন্তব্যকারী যে পার্থক্যটি খুব জোরের সাথে বলেছেন, তা হলো পশ্চিমবঙ্গে এ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের সহজলভ্যতা। বাংলাদেশের তরুণরা যেখানে নেশা শুরু করে ইয়াবা ফেন্সিডিল দিয়ে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের তরুণরা সেটা শুরু করে বিয়ার-হুইস্কি দিয়ে। অনেকে যে সেখান থেকে কোকেন, হেরোইনের দিকে যায় না, তা না, তবে সেটার হার খুবই কম।

কেউ কেউ এটাকে পশ্চিম বাংলার মানুষের মিতব্যয়ী সংস্কৃতির সুফল বলে দাবী করেছেন। এই বিষয়টা কিছুটা গোলমেলে হলেও একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। গোলমেলে বলছি এজন্য যে, যারা নেশা করে, তারা টাকার জন্য আটকে থাকে না- চুরি-ছিনতাই যা-কিছু করেই হোক, তারা নেশার টাকা যোগাড় করে ফেলে। আবার এই যুক্তিটি ফেলে দেয়ার মতোও না, কারণ তরুনরা যখন প্রথম নেশা করতে শুরু করে তখন নেশা দ্রব্যটি কেনার জন্য তার হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হয়। কোন তরুণই নেশা শুরুর প্রথম দিককার দিনগুলোতে চুরি-ছিনতাইয়ের কথা চিন্তা করে না, ওটা কেবল তখনই করে যখন সে পুরোপুরি নেশাসক্ত হয়ে যায়।

এই ব্যাপারে আরো যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বাংলাদেশের দুর্নীতিপরায়ন সমাজ। খুঁজলে দেখা যাবে প্রত্যেক নেশাসক্ত তরুণেরই দু’একজন বন্ধু থাকে তুলনামূলক ধনী পরিবারের এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার/তাদের মাধ্যমেই অন্যদের নেশায় হাতেখড়ি হয়। সেইসব ধনী পরিবারগুলোর বেশিরভাগই অঢেল না হলেও প্রচুর টাকা-পয়সার মালিক হয় মূলত দুর্নীতির মাধ্যমে। দুর্নীতিবাজ বাবা-মা সন্তানের বায়না মেটাতে টাকা-পয়সার চিন্তা খুব একটা করে না। পরবর্তীতে এর শিকার হয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। তাদের পারিবারিক অশান্তির অন্যতম কারণ হয় সন্তানের নেশাসক্ততা। পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি তুলনামূলক কম এবং দুর্নীতির লেভেল অব ইন্টেনসিটি, মানে দুর্নীতির লেনদেনে টাকার পরিমাণ, কম। এছাড়া পশ্চিবঙ্গের তরুণরা সেখানকার মিতব্যয়ী সংস্কৃতিটা পরিবার থেকেই লাভ করে। ফলে তরুণদের হাতে টাকা কম থাকে এবং অযথা টাকা খরচ করার প্রবণতাও কম থাকে। এর প্রভাব পড়ে নেশার ক্ষেত্রেও।

Anindya Jyoti Biswas নেশার সাথে পশ্চিমবঙ্গের মিতব্যয়ী কালচারকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি, তবে তাঁর মন্তব্যে বিপরীতটাই স্পষ্ট করে। তিনি লিখেছেন, “পঃবাংলায় (সারা ভারতেই, দুএকটা স্টেট বাদে) অ্যালকোহল সুলভে পাওয়া যায়, বিয়ার, ওয়াইন, রাম, হুইস্কি, জিন, ভোদকা, এগুলো কলেজে ওঠার আগেই ছেলে (এবং মেয়েদেরো) পান করা হয়ে যায়, কারণ মদ্যপান রিলিজিয়াস ট্যাবু নয়। সামাজিকভাবে হয়ত কলেজে পড়া ছোকরা বাপের সামনে বসে পান করবে না, মানে যতদিন না নিজে উপার্জন করছে ততদিন। আর দরিদ্র শ্রেণির জন্য রয়েছে ধেনো মদ, তাড়ি, বাংলা ইত্যাদি। এবং এগুলো আরো সহজলভ্য। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটিতে নেশার দ্রব্য বলতে গাঁজা, ড্রেনড্রাইট নামক আঠা, জুতোর কালি এবং কালেভদ্রে হেরোইন। ইয়াবা বা ফেন্সিডিল জাতীয় নেশা পঃবাংলার বাঙ্গালিরা করে না কারণ ”জাতে মাতাল তালে ঠিক” প্রবাদ বাক্যটি এখান থেকেই উদ্ভূত, ঐ জাতীয় বস্তুর নেশায় জড়িয়ে ক্যারিয়ার বা জীবন খারাপ করবার মত ছেলে ছোকরার পারসেন্টেজ একেবারেই কম।”

অনিন্দ্য পাঞ্জাবে ও গোয়াতে নেশার মহামারী আকার ধারণ করার কথা উল্লেখ করেছেন। দুটি প্রদেশেই এ্যালকোহল উন্মুক্ত হলেও হেরোইন, মরফিন, ইত্যাদি নেশা এপিডেমিক রূপ নিয়েছে। তার মানে এ্যালকোহল উন্মুক্ততার সাথে এর খুব একটা সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এর একটা ব্যাখা পাওয়া যাচ্ছে বাকি কয়েকজনের মন্তব্যে। গোয়াতে নেশাজাতীয় সামগ্রীর সহজলভ্যতাই এর জন্য অনেকটা দায়ী।

বাংলাদেশে নেশার সহজলভ্যতার দুটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন মন্তব্যকারীরা: ভৌগলিক অবস্থান ও আইন প্রয়োগে শিথিলতা। কিন্তু এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের বর্ডারের চেয়ে ভারত-মায়ানমার বর্ডার প্রায় সাতগুন বড় হলেও মায়ানমারের সাথে সংযুক্ত রাজ্যগুলোতে ইয়াবা নেশার রমরমা নেই। এমনকি খোদ মায়ানমারেও এই নেশার বাজার নেই তেমন। তাহলে আমরা ভৌগলিক অবস্থান কতটা বিবেচনায় নিতে পারি?

আইন প্রয়োগের ব্যাপারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে Rajarshi Bandyopadhyay-এর মন্তব্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, “কলেজে পড়ার সময়টা কোলকাতাতে ড্রাগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল । সে সময়ে ব্রাউন সুগার-‘স্ম্যাক ‘ ওপেন রাস্তায় ডেকে বিক্রি করতো । কিন্তু তারপর সরকার রীতিমত কড়া হাতে মোকাবিলা করে । এখনো কয়েকদিন বাদে বাদেই স্কুলে কলেজে ড্র্যাগ সরবরাহকারীদের রেকেট ধরা পরছে । যেটা চিন্তার, সেটা হলো এই কাজে তরুণদের জড়িয়ে পরা । গোয়াতে সেই ৯০ এর গোড়াতেই যা ড্রাগের চল দেখেছি, এখন তো নিশ্চই আরো সাংঘাতিক হয়েছে ।”

সবার মোটামুটি একই ধরণের মন্তব্যের মধ্যে মুক্তা মনি নামক একজন একটু ভিন্ন ধারার বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন বাংলাদেশে সুস্থ বিনোদনের অভাব মানুষকে নেশায় বেশি আসক্ত করতে পারে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে সুস্থ বিনোদনের অভাব আছে, এটা মানি। বাংলাদেশে বই-পড়া সংস্কৃতি প্রায় উঠে গেছে। আগে যেমন জেলা-উপজেলাভিত্তিক থিয়েটার কালচার গড়ে উঠেছিল, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও যে গ্রামভিত্তিক থিয়েটার কালচার ছিল, সেগুলোও উঠে গেছে। মুক্তা মনি আরো লিখেছেন, “মানুষকে তার প্রকৃতিগত প্রবণতা থেকে জোর করে সরিয়ে আনলে তার মধ্যে বিকৃতি দেখা দেওয়া স্বাভাবিক যার ফলে সে মানসিক তৃপ্তির জন্য ভয়ঙ্কর নেশার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।” প্রকৃতিগত প্রবণতা বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন সেটা পরিস্কার করেননি।

মুক্তা মনির মন্তব্য আমার পোস্টের সাথে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করে। তিনি বলতে চান যে, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত যে মিলের কথা বলছি, তা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে Abul Fazal Ibn Mubaraq-এ আমার পোস্টের সাথে একেবারেই দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি লিখেছেন, “পূর্বববঙ্গ আর পশ্চিমবঙ্গের তরুণ সমাজ “প্রায় একই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাস করে” এই কথাটা একটা সুন্দরভাবে বানানো মিষ্টি মিথ্যা কথা। মঞ্চনাটক আর সিনেমা ব্যক্তিত্বরা পূর্ববঙ্গের দর্শকদের খুশি করার জন্য এই কথাটা বইলা থাকে – ” আরে, মনেই হচ্ছে না যে বিদেশে আছি”!! বাস্তবে এর কোন ভিত্তি আমি পাই নাই। আপনি তো জানেনই যে আমার মায়ের দিকের আত্মীয়স্বজনদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে থাকে, তাই বহুবার কলকাতার বাইরেও পশ্চিমবঙ্গের কিছু শহরে যাওয়ার সুযোগ হইছে আমার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতেছি, দুইটা সম্পুর্ণ না হইলেও বেশ ভিন্ন সংস্কৃতি। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি স্বাস্থ্যকর বা Healthy, আর পূর্ববঙ্গের সংস্কৃতি অস্বাস্থ্যকর, oppressive, repressive. অতএব ভাই, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের বলা কথায় কান দিয়েন না!”

কেউ কেউ আমার পোস্টে আমার ভারত-ঘেষা অবস্থানও দেখেতে পেয়েছেন, তাদের আমি ইগনোর করে যাচ্ছি। তারা বাংলাদেশের আমজনতার মতো ভারতবিদ্বেষী মনোভাবে আক্রান্ত, হোক তারা লেখক-কবি তাতে কিছু যায় আসে না। তারা সত্যকে অস্বীকার করতে চান।

সব মিলে আমরা আসলে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি, তবে বাংলাদেশের তরুণদের তুলনামূলক ফেনসিডিল-ইয়াবা আসক্ত হওয়ার বেশ কিছু কারণ পেয়েছিঃ
১. এ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের অসহজলভ্যতা।
২. অমিতব্যয়ী সংস্কৃতি।
৩. সীমান্তে ও অভ্যন্তরে আইন প্রয়োগের শিথিলতা।

ইয়াবা-ফেনসিডিলে আসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে এ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের অসহজলভ্যতা বিষয়টি কিছুদিন আগে পুলিশের আইজিপিও তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তারা বিকল্প হিসেবে বিয়ার উন্মুক্ত করার চিন্তা করছেন।

এ্যালকোহল নিষিদ্ধকরণের সাথে অনেক অপরাধও জড়িত। এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যানগত উদাহরণ তোলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। ধর্মীয় বিবেচনায় ও এ্যালকোহলের স্বাস্থ্যগত খারাপ দিক বিবেচনায় ১৯১৯ সালে আমেরিকা Volstead Act নামে একটি আইনের মাধ্যমে এ্যালকোহল জাতীয় সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রি, পরিবহন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে, যা ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। নিষিদ্ধের পরে এ্যালকোহল সেবনের মাত্রা কমে আসে কিন্তু প্রিপ্রোহিবিশন (Pre-prohibition) সময়ের থেকে অপরাধের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের মতোই সেখানে এ্যালকোহলের ব্যবসা চলে যায় ব্ল্যাক মার্কেটে এবং তা নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করে বিভিন্ন মাফিয়া চক্র। ১৯২০ থেকে ১৯২১ এ আমেরিকায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলো ২৪%। এর সাথে আরো রয়েছে চুরি ও ছিচকে চুরি বৃদ্ধি ৯%, খুন ১৩%, আঘাতজনিত আক্রমণ ১৩% এবং মাদকাসক্তি ৪৫%। পুলিশের খরচ বেড়ে গেলো ১১.৪%। মদ সহজলভ্য না হওয়ায় ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ইথাইল এ্যালকোহল সেবন শুরু হলো, ফলে ইথাইল অ্যালকোহলের সাথে মিথাইল এ্যালকোহল মিশিয়ে মিথিলেটেট স্প্রিরিট তৈরি করা হচ্ছিলো যাতে বছরে গড়ে মারা গেলো প্রায় ১০,০০০ লোক। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে, বিশেষ করে পুলিশ বিভাগে দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছিল আশংকাজনক হারে। এদিকে সরকারের বিরাট অংকের রেভিনিউ আর্নিং কমে গেলো। সবদিক বিবেচনায় ১৯৩৩ সালে এ্যালকোহলকে পূনরায় উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।

এ্যালকোহল নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশেও এ ধরণের অপরাধ বেড়েছে অনেকগুন। তাছাড়া স্পিরিট পান করে মৃতের সংখ্যাও বছরে কম নয়। এ্যালকোহল নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে যে ব্ল্যাক মার্কেট তৈরি হয়েছিল, তারাই পরবর্তীতে তরুণদের মাঝে ফেনসিডিল-ইয়াবাকে জনপ্রিয় করে তোলে। ব্ল্যাক মার্কেটে আসার ফলে এ্যালকোহলসহ সকল নেশাদ্রব্যের দাম বেড়েছে বহুগুন। ভারতে উৎপাদিত ওষুধ ফেনসিডিলের দাম যেখানে ৩০-৩৫ টাকা এবং যা বর্ডার এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, তাই ঢাকাসহ দূরের শহরগুলোয় বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত। এসব মাদকসেবীরা আগে যেখানে অল্প টাকায় কেরু এন্ড কোং কিংবা বিদেশী মদ কিনে খেতে পারতো, সেখানে তাদের এখন অতি উচ্চদামে এ্যালকোহলের চেয়ে অনেক অনেক বেশি ক্ষতিকারক ফেনসিডিল ও ইয়াবা কিনে খেতে হচ্ছে। (কেউ কেউ কমদামে চোলাই মদ কিনছে বটে, তবে সেটাও সহজলভ্য নয় এবং তা খুবই নিম্নমানের।) ব্ল্যাক মার্কেটে এইসব ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে নারী ও শিশু পাচার, জাল টাকা প্রস্তুতকরণ, অস্ত্রব্যবসা, পতিতা ব্যবসা, জুয়াসহ বহুবিধ অবৈধ ব্যবসা। এসবের সাথে জড়িতরাই আবার হত্যা-খুন-গুমসহ আরো বহুবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

স্বাস্থ্যগত বিষয়টি বিবেচনায় নিলেও বিয়ার এবং ওয়াইন উন্মুক্ত করা যেতে পারে। ওয়াইন হলো পৃথিবীর আদিমতম ওষুধ, যা মানুষ কর্তৃক প্রস্তত হয়েছিল এবং প্রস্তুত প্রণালীও লিপিবদ্ধ হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ থেকে ওয়াইনকে ওষুধ হিসেবে প্রয়োগের ইতিহাস পাওয়া যায়। বর্তমানেও উচ্চমাত্রার এ্যালকোহলকে স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ বলা হলেও সপ্তাহে দুই-তিনদিন অল্প পরিমাণে বিয়ার ও ওয়াইন পানকে ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।

বাকি দুটি বিষয় – অমিতব্যয়ী সংস্কৃতি ও আইন প্রয়োগে শিথিলতা – সম্পর্কে আমার তেমন কিছু বলার নেই। অমিতব্যয়ী সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে দুর্নীতির মতো বহুকাল থেকে সমাজে প্রোথিত একটি বিষয়। সুতরাং এটি কমাতে সরকারী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সবকিছুর ওপরে সম্ভবত আমাদের নৈতিক শিক্ষার সংকটকেই দায়ী করা যায়।

সবকিছু বিবেচনায় আপনার কী মত? এ্যালকোহল উন্মুক্ত করে দিলে ফেনসিডিল-ইয়াবা আসক্তদের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা আছে কি?

Leave a Comment