মিনি প্রবন্ধ সিরিজটি ফেসবুকে লেখা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের সংকলন। পোস্টগুলো সংকলনের তেমন কোন বিশেষত্ব নেই। কেবল সময় ও চিন্তাকে ধরে রাখা। বুড়ো বয়সে মানুষ যৌবনের ডায়েরি পড়ে যে সুখ পায়, আমিও হয় তো সেটা পাব এগুলোতে চোখ বুলিয়ে।

…………….

১. হাতের মুঠোয় বিশ্ব … তবুও (২৬.০৪.১৮)

আজ সকালে ঘুম থেকে জেগে বিছানায় শুয়ে শুয়েই মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠালাম। বিছানা ছাড়ার কিছুক্ষণ পরে যার কাছে টাকা পাঠিয়েছিলাম, সে ব্যাংক থেকে টাকাটা তুলেও নিলো।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যখন মানুষের মাঝ থেকে ভৌগলিক দূরত্বকে সরিয়ে দিচ্ছে, ধর্ম নামক এক সেকেলে প্রথা তখনও বিভেদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষের মাঝখানে। সে এখনও বলছে হাজার বছরের পুরোনো গল্পকে বিশ্বাস করতে ও একে অপরকে ঘৃণা করতে।

মুছে যাবে, একদিন সকল বিভেদ মুছে যাবে। সেদিন ইতিহাস পড়ে তুমি লজ্জিত হবে মানুষ।

২. মূর্তিপূজার ফজিলত

বহুশ্বরবাদী ধর্মগুলো তাদের ধর্মবৈশিষ্ট্যেই অন্য বহুশ্বরবাদী ধর্মগুলোর প্রতি সহনশীল ছিলো; এমনকি নাস্তিকতা বিষয়েও তেমন একটা মাথাব্যথা ছিলো না।

একটি বহুশ্বরবাদী সাম্রাজ্য যখন অন্য কোন রাজ্য দখল করতো তখন দখলকারীরা দখলকৃত প্রজাদের ওপর তাদের ধর্ম চাপিয়ে দিতো না। তারা এটা আশা করতো যে দখলকৃত প্রজারা সম্রাটের অনুসারী ধর্মের ও তার দেব-দেবীদের সম্মান করুক, কিন্তু দখলকৃত প্রজাদের ধর্ম ত্যাগ করার কোন তাগাদা ছিল না। তারা দখলকৃত এলাকায় মন্দির বানাতো, তবে সেটা দখলকৃতদের মন্দির উচ্ছেদ করে নয়, বরং তার পাশাপাশি।

তারা ধর্ম প্রচারের জন্য দখলকৃত এলাকায় কোন মিশনারি পাঠাতো না; না পাঠাতো কোন সেনাবাহিনী। অনেক সময় দখলকারীরাই দখলকৃতদের থেকে দু’একজন দেবতাকে নিজের ধর্মে গ্রহণ করতো। রোমানরা বেশ সাদরেই মিশরীয় দেবী আইসিসকে তাদের ধর্মে বরণ করে নিয়েছিলো।

একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর চরিত্র ঠিক এর বিপরীত। আর তাই বহুশ্বরবাদী ধর্মগুলোর সাথে একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর বিরোধ খুব স্বাভাবিক। তবুও বহুশ্বরবাদী ধর্মগুলো একেশ্বরবাদীদের ধর্ম প্রচারে খুব বেশি বাঁধা সৃষ্টি করেনি। রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টানিটি খুব যে অবাধে বাড়তে পেরেছে এমন নয়, তবে সেটা খ্রিস্টানদের নৃশংসতার কাছে কিছুই নয়। যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া থেকে পরবর্তী ৩০০ বছরে (যতদিন পর্যন্ত রোমান সাম্রাজ্য বহুশ্বরবাদী ছিলো) খুব বেশি হলে কয়েক হাজার খ্রিষ্টানকে হত্যা করা হয়েছিলো, কিন্তু খ্রিষ্টানরা পরবর্তী কয়েকশ বছরে কত মিলিয়ন যে হত্যা করেছে তার ইয়ত্তা নেই।

একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর অনুসারীরা এতোই অসহিষ্ণু যে তারা নিজ ধর্মেরই সামান্যতম পার্থক্যকে সহ্য করতে পারে না। ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের মধ্যে বিরোধ কেবল একটি জায়গায়। প্রোটেস্ট্যান্টরা মনে করে যে, ঈশ্বর দয়াশীল; তাই তিনি সকল খ্রিষ্টান অনুসারীদের স্বর্গে পাঠাবে। আর ক্যাথলিকরা মনে করে যে, স্বর্গে যেতে হলে চার্চে যেতে হবে এবং ভাল কাজ করতে হবে।

শুধু এই বিরোধের ওপরে ভিত্তি করে তারা একে অপরকে হত্যা করতে শুরু করে। ২৩ আগস্ট ১৫৭২ – এই একদিনে ফ্রান্সে যত সংখ্যক প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানকে হত্যা করা হয়েছে, বহুশ্বরবাদী রোমান সাম্রাজ্যে ৩০০ বছরেও তত খ্রিষ্টানকে হত্যা করা হয়নি।

(পোস্টটি লেখা হয়েছে ‘স্যাপিয়েনস – মনুষ্য প্রজাতির ইতিহাস’ বইয়ের ১১তম অধ্যায়ের ‘মূতি পূজার উপকারীতা’ শীর্ষক অনু-অধ্যায় থেকে।)

 

৩. শিশুদের ফান্ড সংগ্রহ (২৬.০৪.১৮)

তনু কয়েকদিন ধরে তার এক বন্ধুর সঙ্গে ফাণ্ড রেইজিংয়ের প্রচেষ্টায় আছে। তারা দু’জন মিলে এর আগে একদিন ওয়াফেল তৈরি করে তা সুপারমার্কেটের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করেছে। আজ গিয়েছে গাজর-কেক নিয়ে। ওর অন্য বন্ধুরাও এভাবে খাবার-দাবার বিক্রি করে ফান্ড তুলছে। তাদের মধ্যে বেশ একটা প্রতিযোগিতা ভাবও রয়েছে।

এভাবে সব স্কুলেই ফান্ড সংগ্রহ করে তা দিয়ে দেয়া হবে কোন সংগঠনকে, যারা টাকাগুলো তৃতীয় বিশ্বের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করবে। তৃতীয় বিশ্ব এসব অনুদান পেয়ে কী করে তা আপনারা জানেন।

তৃতীয় বিশ্ব যাই করুক, এখানকার শিশুদের মধ্যে এই ফান্ড সংগ্রহের কাজটা এক মানবিকতা বোধ তৈরি করে। তারা সারা জীবন এই বোধকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং মানুষের জন্য কাজ করাকে, দান করাকে মহানুভবতার দৃষ্টিতে দেখে।

বাংলাদেশের মতো গরীব দেশগুলোর হর্তা-কর্তা-বিধাতারা, যারা বিদেশের অনুদানের টাকাও লুটপাট করতে ছাড়ে না, তাদের এটা জানা দরকার যে, ঐ অনুদানগুলোতে এদেশী শিশুদের শ্রম ও ভালবাসা জড়িত।

 

৪. হুমায়ুন আজাদ স্মরণে (২৮.০৪.১৮)

হুমায়ুন আজাদ তাঁর ‘শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার’ উপন্যাসটিতে দেখিয়েছেন, কী করে একজন ‘মোহাম্মদ’ হতে হয়। বাঙালি মুসলিমরা রূপক বোঝে না। আজাদ শুভব্রত চরিত্রটিকে প্রায় হুবহু মোহাম্মদের জীবনী দিয়ে সাজালেও কেবল বাঙলা নাম ব্যবহারের কারণে মুসলিমরা ওটাকে পাত্তা দেয়নি। তারা মনে মনে বোধ হয় খুশীই হয়েছিল।

এটা বুঝতে পেরেই আজাদ সম্ভবত ‘পাক ছার জমিন সাদ বাদ’ লিখেছিলেন, যা আসলে জামাতে ইসলামীর চিত্রায়ন। ওটাতেও যদি লেখক বাঙলা নাম ব্যবহার করতেন, তাহলে হয় তো তাঁকে চপাতি আক্রমণের স্বীকার হতে হতো না। এ দ্বারা একটি বিষয় নিশ্চিত যে, বাঙালি মুসলিমদের একাংশ নামে যেমন বাঙালি না, চিন্তায়ও বাঙালি না।

‘কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ’ উপন্যাসে আজাদ এঁকেছেন এক কবির জীবনী। কবিতা ও যৌনতা দুটোতেই খুব পারঙ্গম ছিলেন কবি। কিন্তু যখন কবির লিঙ্গ কাটা গেল, তখন আর তার মধ্যে কবিত্ব আসে না; তার সবকিছু অর্থহীন মনে হয়। পুরুষের কাছে লিঙ্গই যে সব, ওটা হারালে যে তার জীবনের কোন মানে থাকে না, তা বোঝা যায় ‘অপুরুষ’ কবির হতাশা থেকে।

যারা হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস পড়েননি, তারা বুঝবেন না উপন্যাস কী করে কবিতা হয়ে যেতে পারে। আপনি বুঝতেই পারবেন না যে, আপনি উপন্যাস পড়ছেন কি কবিতা পড়ছেন। আজাদের জন্মদিনে আজই পড়ে ফেলুন না এর যে কোন একটা উপন্যাস।

 

৫. দুই বাংলার একত্রীকরণ প্রসঙ্গে (২৮.০৪.১৮)

যারা দুই বাংলা এক হওয়ার কথা বলেন, তারা বাঙালি হিন্দুদের কথা ভেবে দেখেন না। এখন পশ্চিমবঙ্গে তারা সংখ্যাগুরু হয়েও মার খায়। বাংলা একত্রিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তারা যখন সংখ্যালঘু হয়ে যাবে, যেমনটা ঘটেছে বাংলাদেশের পাহাড়ি জেলাগুলোতে, তখন মার খাবে আরো বেশি।

বাঙালি হিন্দুরা তাদের এই পরিবর্তন মেনে নিতে চাইবে না। এর ফলে পুরো বাংলাতেই দাঙ্গা শুরু হবে। আর দাঙ্গায় চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষ্ণববাদে প্রভাবিত বাঙালি হিন্দুরা কোনদিনই মুসলিমদের সাথে পেরে উঠেনি, উঠবেও না। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে যেমন পালিয়েছিল, সেভাবে সারা বাংলা থেকে পালানোই হবে তাদের জন্য একমাত্র পথ।

পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের মধ্যে আর্থিক বিভাজন থাকতে পারে, কিন্তু ধর্মীয় বিভাজন ছিলো না বা নেই। তাছাড়া রাষ্ট্রগুলো ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেয়ায় বা ধর্মের অনুশীলনই না থাকায় সমাজে ধর্মের আদৌ কোন প্রভাব ছিলো না বা নেই।

সুতরাং যারা দুই বাংলার মিলনের স্বপ্ন দেখছেন, তারা সব ভুলে যান। ভুলে যান বার্লিন দেয়ালের পতন। ভুলে যান উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৈঠক।

 

৬. বিশ্ব শান্তি (২৯.০৪.১৮)

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অনুসরণ করে ইরান ও সৌদি আরবও কি তাদের শত্রুতা বন্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে না? সেরকম কিছু হলে ইসলামী দেশগুলোর শিয়া-সুন্নী মেরুকরণ (পোলারাইজেশন) বন্ধ হতো, যা ইসলামী দেশগুলোতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অপরিহার্য। এই মেরুকরণ বন্ধ হলে রাষ্ট্রীয় মদদে জঙ্গি ফাইনান্সিংও বন্ধ হতো। এরপরে তালেবানকে নিস্ক্রিয় করা মাত্র দু’চার বছরের ব্যাপার।

আপাতদৃষ্টিতে অযোগ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বেমানান সৌদি রাজপুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানের বদৌলতে আমি অন্তত ইরান-সৌদি সম্পর্ক পূনঃস্থাপনের স্বপ্নও দেখি। এটা আরো বোঝা গেছে ইরানের ব্যাপারে ট্রাম্পকে নমনীয় করতে ফ্রান্সের সুশীল প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের ব্যর্থতা। ট্রাম্প ইরানকে উত্তর কোরিয়ার মতোই চাপে রাখছে। [এখানে আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, মধ্যপ্রাচ্যে নিউক্লিয়ার বোমা প্রকল্পের লড়াইটা শুরু করে দিয়েছিলো ফ্রান্স। ইরাকের সেই নিউক্লিয়ার প্রকল্প ইসরাইল অতর্কিত হামলা করে ধ্বংস করে দিয়েছিলো, যাতে কয়েকজন ফরাসীও মারা যায়।]

সিরিয়া যুদ্ধের ব্যাপারে ট্রাম্পের গা-বাঁচানো অবস্থান আবারো পরিস্কার হয়েছে একবার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করেই ‘ইটস এ্যাকমপ্লিশড’ ঘোষণা। আমার মনে হয়েছে ট্রাম্প ঐ হামলায় গিয়েছিলো কেবল ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্যে। মজার ব্যাপার হলো, ঐ ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পূর্বে আমেরিকা রাশিয়াকে জানিয়েছিলো এবং রাশিয়া জানলে যে তা সিরিয়াও জেনেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২০১৮ সালকে সম্ভবত একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ বছর বলা চলে। আশা করা যায় সিরিয়া যুদ্ধও এ বছর শেষ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্য যুদ্ধটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যে গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে একটা মিটিংও করেছে তারা। তবে ট্রাম্প সিরিয়াতে ন্যাটো বাহিনী পাঠাবে, এমনটা মনে হয় না। সিরিয়া ইস্যুতে বাকি আছে তুরস্ক ও ইসরাইল। কিন্তু সৌদি-ইরান শান্তি ফিরে এলে, সবই গুটিয়ে যাবে। বন্ধ হবে সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধও। তবে এগুলোর জন্য আমাদের হয় তো ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তখন একটা বিষয়ই অসমাপ্ত থাকবে, সেটা হল ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক। সৌদি রাজপুত্র যে ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক, তা এখন বেশ পরিস্কার। কিছুদিন আগে তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট কথা বলেছেন। ভারতীয় বিমানকে সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করে তেল আবিব যাওয়ার অনুমতি দেয়াটাও সে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আরব রাষ্ট্রগুলো যদি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়, তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও গঠিত হবে। আমি এখানে একটা ভবিষ্যত বাণী করে যাই, ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে পাবো। সাথে দেখতে পাবো একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী।

তবে তখনও যে দেশে দেশে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি তুলে মানুষ হত্যা করা হবে না, এই নিশ্চয়তা স্বয়ং আল্লাহও দিতে পারবে না।

৭. আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশীদের অবস্থান (৩০.০৪.১৮)

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত রাজনীতিকরা বড় বড় পদ দখল করছে। আর আমরা বাংলাদেশীরা সেটা নিয়ে হাসাহাসি করছি। এটা দেখে আমারও হাসি পাচ্ছে।

পাকিস্তানীরা কেবল রাজনীতিতে নয়, বাইরের দেশগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, ইত্যাদি সবকিছুতেই বাংলাদেশী ইমিগ্রান্টরা পাকিস্তানীদের থেকে পিছিয়ে। এমন না যে বাংলাদেশীরা খুব কম আছে ইউরোপ-আমেরিকাতে। তাহলে এরকম হওয়ার কারণ কী?

আমার মনে হয় এর পিছনে কিছু কারণ আছে। প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলোতে পাকিস্তানীদের আগমন ঘটে বাংলাদেশীদের এক প্রজন্ম আগে। আর ঐ সময়টাতে ইউরোপে শিক্ষিত মুসলিমরা বর্তমানের মতো ধর্মান্ধ হতো না, অনেকক্ষেত্রেই বরং ন্যাটিভদের থেকে ভাল করতো। পশ্চিমারাই তাদের রাজনীতিতে ইনভলবড করতো।

দ্বিতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশীদের এমন এক অলীক স্বপ্ন দেখিয়েছিলো যে, বেশিরভাগ বাংলাদেশীরা এখনও জাতীয়তাবাদী স্বপ্নদোষে ভুগছে। তারা পশ্চিমে এলেও মানসে-মননে রয়ে গেছে বাংলাদেশীই। তাদের ইউটোপিয়ান বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা এখনও বন্ধ হয়নি। আর এখন তো শুরু হয়েছে ইসলামিক হয়ে ওঠার ট্রেন্ড।

Leave a Comment