খাপছাড়া আড্ডাপ্রবন্ধ

ক্রীতদাসের হাসি ও বাঙালি মুসলমানের স্বাধীনতা-স্বপ্ন

এমন অনেক সময় আসে, যখন লেখককে কলম ছেড়ে অস্ত্র ধরতে হয়। এরকম দুঃসময়ে বেশিরভাগ লেখক অবশ্য কলমটাকেই অস্ত্র বানিয়ে নেন, তারপর লেখেন রক্ত লেখা। কোন কোন লেখক আবার কলমকে ঝাড়ুতেও পরিণত করেন, তারপর লেগে যান সমাজের ময়লা সাফ করতে। কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের নিজের মতে, তিনি ছিলেন এই শেষের দলে। নিজেকে তিনি ঝাড়ুদার লেখক মনে করতেন। তাঁর নিজের ভাষায়, সমাজ সংস্কারে কলমকে তিনি ঝাড়ুর মত ব্যবহার করেছেন। আমাদের হিংস্র সমাজ ও রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়ানোর বদলে তিনি পরিহাস-বিদ্রুপকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁর সাহিত্যের উপাদান হিসেবে। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ তেমনি একটি বিদ্রুপ সাহিত্য। নিঃসন্দেহে এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্লাসিক উপন্যাস। সাহিত্যিক-সমালোচকদের দৃষ্টিতে এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি; লেখক নিজেও সেরকমই মনে করতেন।

‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাস হলেও এর উপস্থাপনায় লেখক আমাদের একটি নতুন ফর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, অথবা সৃষ্টি করেন। বাংলা সাহিত্যে এরকম ‘না-উপন্যাস না-নাটক’ রূপের উপস্থাপন আগে কেউ করেছেন বলে মনে হয় না। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ একটি সফল নিরীক্ষা। লেখক এখানে কেবল উপন্যাসের ফর্ম নিয়ে নিরীক্ষা চালাননি, নিরীক্ষা চালিয়েছেন সময়কে নিয়েও।

1514864475

বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। পাকিস্তানে তখন চলছিল ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন। বক্তব্যের সহজ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রূপকের আশ্রয় নিয়ে লেখক আইয়ুব খানের সামরিক দুঃশাসন ও বাঙালিদের স্বাধীনতা-স্বপ্নকে বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যথাক্রমে খলিফা হারুন অর রশীদ ও হাবসি গোলাম তাতারীর মাধ্যমে।

হাবসী গোলাম তাতারীর প্রেমে পড়ে আরমেনীয় দাসী মেহেরজান। আর তাদের মিলনে সাহায্য করেন রাজমহিষী জোবায়দা। তিনি মেহেরজানকে প্রণোয়োদ্দেশ্য তাতারীর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং সাথে একটা আংটি দিয়ে এটাও নিশ্চিত করেন যেন দারোয়ানদের বাঁধা পেরিয়ে মেহেরজান ঠিক তাতারীর কাছে পৌঁছাতে পারে।

উপন্যাসের একেবারে শুরুর এই অংশটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একজন ক্রীতদাস ও একজন ক্রীতদাসীর প্রেমের ব্যাপারে খলিফার স্ত্রীর খুশী হওয়া ও তাদের মিলন নিশ্চিত করার চেষ্টাকে কেবল নারীর কোমল হৃদয়াবেগ দিয়ে দেখার কারণ নেই। রাণী নিজেও স্বাধীন না। তিনিও খলিফার আজ্ঞাবহ। কিন্তু তার মন সে আজ্ঞা মানতে চায় না, বিদ্রোহ করতে চায়। বিদ্রোহ করার শক্তি তাঁর নেই, তাই প্রাসাদের নিয়ম তথা খলিফার আদেশ লঙ্ঘন করার মাধ্যমেই তা প্রকাশ পায়।

বেগমের সাহায্য নিয়ে মেহেরজান ও তাতারী রাজপ্রাসাদের বাইরে দেয়াল ঘেষে দাঁড়ানো হাবসি গোলামদের আবাসে তাতারীর গৃহে প্রতিদিন মিলিত হয়। সেখানে মিলনের আনন্দে তারা প্রাণ খুলে হাসে। এক রাতে খলিফা হারুন অর রশীদ সেনাপতি মশরুরকে নিয়ে রাজপ্রাসাদের বাগানে বেড়াতে বের হলে হাবসী গোলামদের আবাস থেকে হাসি শুনতে পান। গোলামদের এমন প্রাণখোলা হাসিতে বিস্মিত হন খলিফা। তিনি নিজে বগ্‌দাদের বাদশা হয়েও হাসতে পারছেন না, অথচ তাঁর প্রাসাদের বাইরে কেউ এমন সুখ-ডগমগ হাসি হাসতে পারে! খলিফার এমন বিস্ময়ে সেনাপতি তাঁকে বলেন, “পারে, আমিরুল মুমেনীন। ওরা সুখ পায় না, কিন্তু সুখের মর্ম বোঝে। মনুষ্যত্বহীন, কিন্তু মনুষ্যত্বের আস্বাদ পায়। ওরা হাসে।”

ঈর্ষা ও আক্ষেপে আক্রান্ত খলিফা কোন কাজে মন দিতে পারেন না। তাঁর কানে কেবলই হাবসী গোলামের হাসি শুনতে পান তিনি। তিনি কেবলই ভাবেন কেন বগ্‌দাদের অধীশ্বর হয়েও তিনি এরকম প্রাণখোলা হাসি হাসতে পারছেন না। তিনি নিজেও যদি এমন হাসতে পারতেন!

পরের রাতে সেনাপতিকে নিয়ে তিনি আবার বের হন হাসির উৎস অনুসন্ধানে। সে রাতে তিনি জানতে পারেন, এ হাসি হাবসী গোলাম তাতারী ও বাদী মেহেরজানের প্রণয়জাত হাসি। তৃতীয় দিন তিনি তাদেরকে তাতারীর ঘরে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন। জেনার অপরাধে তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতে চান, কিন্তু যখন জানতে পারেন যে রাজমহিষী জোবায়দা  বিয়ে দিয়েছেন, তখন সবাইকে অবাক করে খলিফা মেহেরজান ও তাতারীকে দাসত্ব মুক্ত করে দেন। তিনি ঘোষণা করেন, এটা তাদের হাসির পুরস্কার। তিনি মেহেরজানকে অন্দরমহলে পাঠিয়ে দেন এবং তাতারীকে বগ্‌দাদ শহরের পশ্চিমে একটি বাগিচার মালিক করে দেন। এর পরিবর্তে তিনি তাতারীর হাসি দেখতে চান। কিন্তু তাতারী হাসতে পারে না।

খলিফা তাতারীর হাসি দেখার জন্য উদগ্রীব হন, কিন্তু মেহেজানবিহীন তাতারী আর হাসতে পারে না। খলিফার অনেক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, তিনি শেষ পর্যন্ত এটা বলেন যে, তাতারী যদি তার সম্মুখে হাসতে না পারে সে যেন বারান্দায় গিয়ে একটু হাসে, খলিফার ঐ হাসি শুনলেই চলবে। তাতারী তাতেও ব্যর্থ হয়। খলিফা রেগে গিয়ে তাতারীকে হত্যার আদেশ দেন। এসময়ে কবি আবু নওয়াস বলেন, “আলম্পানা, আমি কবি আপনি জানেন। নাফরমানের গর্দান নেওয়া উচিত। কিন্তু এর অপরাধ কতটুকু বিচার করে দেখা হোক। ও হাসছে না। কিন্তু হাসির জন্য ওয়াক্ত লাগে, যেমন নামাযের জন্য প্রয়োজন হয়।” কবির কথায় খলিফা সেদিন তাতারীকে ছেড়ে দেন বটে, তবে তিনি আবার আসবেন বলে জানান এবং সেদিন তাতারীকে হাসতেই হবে।

তাতারীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য খলিফা বাগদাদের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী নর্তকী বুসায়নাকে পাঠান তাতারীর কাছে। তিনি বুসায়নাকে এই শর্ত দেন যে, যদি সে তাতারীর মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে কতল করা হবে। বুসায়নার নগ্ন দেহের আহ্বানকেও ফিরিয়ে দেয় তাতারী। ব্যর্থ বুসায়না জানতে চায়, তাতারী যেহেতু এখন আর গোলাম নয়, তাহলে এখান থেকে কেন পালাচ্ছে না। উত্তরে তাতারী বলে, “বাহ্‌ হা, বুসায়না। এই ধন-দৌলত দেখে সেই রাতে ভুলে ছিলাম। পরে সব বুঝে ভাবলাম পালাই! বাদ মগ্‌রেব শহরের ফটক থেকে বেরুতে যাব, দেখলাম শাস্ত্রী। বললে, এই শহরের বাইরে যেতে পারবেন না, খলিফার হুকুম। আমি কেমন স্বাধীন, বুঝেছো বুসায়না? এই বান্দি বান্দা মুজরানী ইমারতের মধ্যে আমি স্বাধীন। একটা মোরগকে কতগুলো মুরগির সঙ্গে খুল্লার মধ্যে রেখে দেওয়ার মত।” বুসায়না ফিরে যায় এবং আত্মহত্যা করে।

বুসায়নার মৃত্যুর জন্য খলিফা তাতারীকে দায়ী করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ‘তাতারীর দোষ প্রমাণিত নয়’, এমন কথা বললে কবি নওয়াসেরও গর্দান নেয়ার হুমকি দেন খলিফা। প্রহারে প্রহারে ছিন্নভিন্ন শরীরে শৃঙ্খলাবদ্ধ তাতারীকে খলিফার মহলে আনা হয়। খলিফা তার কাছে একটিবারের জন্য হাসার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতারীর মুখ দিয়ে ‘গররর’ শব্দ ছাড়া আর কিছুই বের হয় না।

ক্রীতদাসের হাসি শুনতে চেয়েও না পাওয়ার অপমানে খলিফা তাতারীকে চূড়ান্ত অপমান করার জন্য মেহেরজানকে সামনে নিয়ে আসেন। মেহেরজান এখন আর বাঁদী নয়, তার প্রেমিকাও নয়, খলিফার বেগম। তাকে দেখে তাতারীর এখন আর হাসি আসে না। একসময় মেহেরজানকে কক্ষ থেকে বের হবার আদেশ দেন খলিফা, আর তখনই তাতারী মুখ খোলে। সে খলিফার নাম ধরে সম্বোধন করে। এতে খলিফা অপমানিত বোধ করেন এবং তাতারীকে চাবুক চালানোর আদেশ দেন। চাবুকের মার খেতে খেতেই তাতারী বলে, “শোন, হারুনর রশীদ। দীরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে। বান্দি কেনা সম্ভব-! কিন্তু-কিন্তু-ক্রীতদাসের হাসি- না-না-না-না-” এরই সাথে তাতারীর মৃত্যু ঘটে। কবি নওয়াস বলেন, “আমিরুল মুমেনীন, হাসি মানুষের আত্মারই প্রতিধ্বনি।”

আমরা যদি উপন্যাসটির চরিত্র ও ঘটনাগুলোকে বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখতে পাবো শওকত ওসমান স্বেচ্ছাচারী শাসক খলিফা হারুন অর রশীদ চরিত্রটির মাধ্যমে পাকিস্তানের তখনকার সেচ্ছাচারী স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তথা পশ্চিম পাকিস্তানী স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতাকে উপস্থাপন করেছেন। আর বাঙালিদের তথা মুসলিমদের চিন্তা-চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে তাতারী চরিত্রটির মাধ্যমে।

তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি মুসলমানেরা পাকিস্তান আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান আদায় করার পরে ভেবেছিল তারা স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা ঠিক এমনটাই ঘটতে দেখি তাতারীর ক্ষেত্রে। তাতারীকে খলিফা দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দেন এবং একটা প্রাসাদ দেন। বুসায়নার সাথে তাতারীর কথোপকথনে আমরা জানতে পারি বাঙালী মুসলমানদের মতো প্রাসাদ পেয়ে তাতারী সাময়িক খুশী হয়েছিল।

বাঙালি মুসলিমদের সেই আপত-স্বাধীনতারও মূল্য দিতে হয়েছিল দুই বাংলাকে ভাগ করার মধ্য দিয়ে, ঠিক যেমনটা তাতারীকে হারাতে হয়েছিল মেহেরজানকে। খলিফা মেহেরজানকে নিয়ে যান অন্দরমহলে এবং পরে নিজেই তাকে বিয়ে করেন।

বছর না পেরুতেই বাঙালিরা বুঝে গিয়েছিল যে তারা আসলে স্বাধীন হয়নি; স্বাধীনতার একচ্ছত্র মালিক হলো পশ্চিম পাকিস্তান; পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকরা তাদের যতটুকু স্বাধীনতা দিবে, তার বাইরে তাদের যাওয়ার জো নেই, ঠিক যেমন দাসত্বমুক্ত হয়েও তাতারীর শহরের ফটক পেরুনোর অধিকার ছিল না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিষয়ে হুমায়ুন আজাদ কর্তৃক নেয়া শওকত ওসমানের সাক্ষাৎকারটি প্রণিধানযোগ্য। সেখানে তিনি বলেছেন, “মনে রেখো বাঙলাদেশ দু-বার স্বাধীন হয়। একবার পাকিস্তান রূপে, দোসরা দফা বাঙলাদেশ রূপে। পৃথিবীতে আর কখনও এমন ঘটেনি। দু-বার ক’রে স্বাধীন। একটা রেকর্ড বটে!”

পাকিস্তান অর্জনের ফলে এ দেশীয় বাঙালি মুসলমানদের মুখে যে হাসি ফুটেছিল তা টেকেনি, পশ্চিম পাকিস্তান তা টিকতে দেয়নি। সেই যে বাঙালির হাসি বিলুপ্ত হয়েছিল তারপর আর তারা হাসতে পারছিল না। তাতারীর হাসির মতোই বাঙালির স্বাধীনতা ছিল ক্ষণস্থায়ী। স্বপ্নভঙ্গে হতাশ বাঙালিদের হাসি তাতারী-মেহেরজানের প্রণয়োদ্ভব হাসির মতোই স্বপ্ন ফুরোতেই মিলিয়ে গিয়েছিল। তারপর পশ্চিম পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য যা কিছুই করেছে – বাংলা ভাষাকে প্রাদেশিক রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দান, পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প কারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ – কোনটাই আর বাঙালিদের হাসতে পারেনি।

ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাসের সবচেয়ে বড় চমক অবশ্য গল্পের ভূমিকায়। গল্পের কথক আমাদের জানান, তার এই গল্পটি আসলে ‘আলেফ লায়লা ওয়া লায়লা’র একটি হারানো গল্প, যে গল্পটির পাণ্ডুলিপিটি তিনি দৈবক্রমে পেয়ে যান কোন এক সহপাঠিনীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সহপাঠিনীর বৃদ্ধ পিতামহের কাছে। কথক আমাদের আরো বলেন যে ‘আলেফ লায়লা ওয়া লায়লা বা সহস্র ও এক রাত্রি’র মূল পাণ্ডুলিপিটির নাম আসলে ‘আলেফ লায়লা ওয়া লায়লানে’, মানে সহস্র ও দুই রাত্রি। এই গল্পটি হারিয়ে যাওয়ার ফলেই সেটা সহস্র ও এক রাত্রি হয়েছিল। পাণ্ডুলিপিটি আবিস্কারের এক লম্বা ফিরিস্তি দেন তিনি- “হালাকু খানের বগ্‌দাদ ধ্বংসের সময় এই পাণ্ডুলিপি আসে হিন্দুস্থানে। নানা হাত-ফেরীর পর পৌঁছায় শাহ্ সুজার কাছে। তিনি আরাকানে পলায়নের সময় পাণ্ডুলিপিটি মুর্শিদাবাদে এক ওমরাহের কাছে রেখে চলে যান। সেখান থেকে জৌনপুর। ফরিদ উদ্দীন সাহেব জৌনপুর থেকে এটা উদ্ধার করেন।” উপন্যাসটির শেষে জানানো হয়, ‘এই খানে পাণ্ডুলিপি ছিন্ন’। বইয়ের শেষে যেখানে সাধারণত ‘সমাপ্ত’ লেখা হয় সেখানে লেখা হয়েছে ‘অসমাপ্ত’।

ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাসটির উপস্থাপনায় এই গল্পটির অবতারণা তথা লুকোচুরিকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি। পাকিস্তানী সামরিক শাসকবর্গ যাতে প্রথমেই উপন্যাসটির মোটিভ বুঝতে না পারে সেজন্যই এ প্রচেষ্টা। লেখক এ ব্যাপারে ১৯৯৫ সালে ‘পুথিঘর লিমিটেড’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির ভূমিকায় লেখেন, “জুয়াড়ীর মত আমি দান ধরেছিলাম। হয় জয়, অথবা সর্বনাশ সুনিশ্চিয়। জিতে গিয়েছিলাম শাসক শ্রেণীর মূর্খতার জন্যে। একই বছর বছরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের পুরস্কার পায় ক্রীতদাসের হাসি।”

……………………….

খাপছাড়া আড্ডার ০৭.০৯.২০১৮ তারিখের পাঠচক্রে পাঠের উদ্দেশ্য প্রবন্ধটি লিখেছেন সন্ন্যাসী রতন

6 Comments

  1. Md. Sakil Hasan

Leave a Comment