মালাউন

“খানকির পোলায় মোরে মালাউন কইয়া গাইল্যায়। দিছি নাটকির পুতেরে ফালাইয়া। পেডের মইধ্যে ছুড়ি হান্দাইয়া এফোঁড়-ওফোঁড় কইর‍্যা হালাইছি। যে মুহে মালাউন কইয়া গাইল্যাইছে, হে মুখটা ফেচাফেচা কইর‍্যা দিছি। জিব্বাটা কাইড্যা লইয়া আইছি। চোদানির পুতে দোজখে যাইয়া যে কথা কইবে, হেইডাও পারবে না। হাহাহা। যা, এহোন বুড়িগঙ্গার পঁচা জলে পঁচগা। আরে, মোর বাপের নাম মোসলেম। মোর দাদার নাম মকবুল মাঝি। হের বাপে নাকি মালাউন আছেলে, হেডা দিয়া মোর কী অইবে? হে এহোন দোজখের আগুনে পোড়তে আছে। পুড়ুক গা। নবী কইছে, সব মানুষ মুসলমান অইয়া জন্মায়। মোর দাদার বাপে ইসলাম গেরোন করে নায়, হেডা হের দোষ। এহোন দোজখের আগুনে পুইড়্যা হের খেসারত দেতে আছে। ” কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে কান-কাটা কামাল।

একটু থেমে জিন্সের জিপারটা টান দিয়ে খুলে ফেলে কান-কাটা কামাল। “দেখ্ তোরা, মোর ইয়েডা দেখ্। কাডা কিনা ক। মোর বাপেরডাও কাডা আছেলে। মোর দাদারডাও। আর ঐ নাটকির পোলায় মোরে কিনা মালাউন কয়।”
“হেইডাই কতা। তুই খানকির পোলা ক, বেশ্যার পোলা ক, কুত্তার বাচ্চা-শুয়োরের বাচ্চা, যা মনে চায় হেইডা ক, তয় কিনা মালাউন ক’বি!” গাঁজার বিড়িটা টেরা মমিনের হাতে দিতে দিতে কাইল্যা শাজাহান কামালের কথায় সায় দেয়।

“আরে বান্দির পুত, গাঞ্জাডা মোর ধারে আগে দেওয়া যায় না!” কাইল্যা শাজাহানকে ধমক দেয় কান-কাটা কামাল। শাজাহান মমিনের দিক থেকে হাতটা ফিরিয়ে কামালের দিকে এগিয়ে দেয়। কামাল দীর্ঘ একটা টান দিয়ে ধোঁয়াটা পুরোপুরি ফুসফুসে আটকে দিয়ে বলে ওঠে, ” মোরও হেইডাই কতা। মোর মায়রে-বুইনেরে গাইলাইলেও মুই এতোহানি মাইন্ড খাইতাম না। হেয়া থুইয়া বান্দির বাচ্চায় কিনা মোরে মালাউন কয়। মোর মতো মোসলমানের পোলারে মালাউন কইলে কেমনডা লাগে ক দেহি! আব্বে হালায়, মালাউন অইলো গিয়া মালাউন। ওরা মরার পরে এহেকটা দোজগের আগুনে পোড়বে। দাউ দাউ আগুনে পোড়তেই থাকবে হারাজীবন। মুই কি মালাউনগো মতো দোজগে পুড়মু? নবীজি কইছে মোসলমানরা সব বেহেশতে যাইবে।” গাঁজার বিড়িটা টেরা মনিরের হাতে এগিয়ে দেয় কামাল।

“হ বস। আইছে শবেবরাতের রাইতে মোরা হগলডি এক রাইত নামাজ পড়ুম। আল্লা তো আল্লা, আল্লার বাপেও মোগ গুনাহ মাপ কইর‍্যা দেতে বাইধ্য।” টেরা মনির প্রথম কথা বলে।

মনিরের কথায় সায় দেয় দু’জনেই। কামাল বলে, “ভাল কতা মনে করচো। হেই কবে নামাজ পড়ছি, হেয়া তো মুই ভুইল্যাই গেছি। কোনদিন মইর‍্যা গেলে গুনাহ মাপের আর সোমায় পামু না।”

“বস, মনির‍্যা টেরা অইলেও মাথায় জব্বর বুদ্ধি রাহে। ওরে একটা নোবেল পুরুস্কার দেয়া লাগবে। সুদখোর ইউনুস্যা যদি নোবেল পাইতে পারে, সহজে গুনাহ মাপের পোত বাইর করার লইগ্যা টেরা মনির‍্যা কেন পাইবে না, কও দেহি বস।” বলেই হো হো করে হেসে ওঠে শাজাহান। বাকি দু’জনও সে-হাসিতে যোগ দেয়।

এতোক্ষণে গাঁজার বিড়ি একটা শেষ হয়ে গেছে। কামাল হাতের ওপর গাঁজা গুড়ো করে আরেকটা বানিয়ে ফেলেছে ইতোমধ্যে। “নেও বস, এইডা তুমি ধরাও।” বিড়িটা কামালের দিকে এগিয়ে দেয় শাজাহান।

কামাল, শাজাহান ও মনির। বরিশালের তিন জেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা এসেছিলো কাজের সন্ধ্যানে। সবাই-ই প্রথমে কিছু দিন শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে মোটামুটি টাকা আয় করতো। পরবর্তীতে তারা অপরাধজগতে ঢুকে যায়। হেন কোন কাজ নেই, ওরা করে নি। ছিনতাই, পকেটমার, মরিচের গুড়া চোখে দিয়ে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মাদকের এজেন্ট হয়ে এক স্থান থেকে আরেকস্থানে মাদক সরবরাহ, নারী ও শিশু পাচারে সহযোগিতা…….সব। কামাল এখন পর্যন্ত তিনবার ধরা খেয়েছে। প্রতিবারই উর্ধতন কেউ তাকে ছাড়িয়ে এনেছে। এবং সেই উর্ধতন ব্যক্তি এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের। অবশ্য কে করাতো কামাল তা জানতো না। সে জানতো যে, তার বস তাকে ছাড়িয়ে এনেছে। কিন্তু কামাল জানে যে, তার ইমিডিয়েট বসের অতোটা ক্ষমতা নেই।

অল্পকিছু এধার-ওধার বাদ দিলে শাজাহান, মনিরেরও কাহিনী একই। এসব করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে প্রত্যেকেই দু-চারটা খুন করেছে। কখনো নিজ হাতে, কখনো খুনে সহযোগীতা করেছে। তাদের তিনজনের প্রথম সাক্ষাৎ হয় সূত্রাপুর এলাকার কমিশনার মিজান সরকারের কাজ করতে গিয়ে। তখন বিএনপি ক্ষমতায়। মিজান সরকারের কোন দল নাই। যখন যে-দল ক্ষমতায় আসে মিজান সরকার তার দলে ভিড়েই কাজ করে। এলাকায় একটা প্রবাদ প্রচলিত হয়ে গেছিলো। ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারায়, বিএনপি সরকার ক্ষমতা হারায়, মাগার মিজান সরকার কখনো ক্ষমতা হারায় না।’ সেই মিজান সরকার একদিন বলা নেই, কওয়া নেই, লন্ডনে উড়াল দিলো। ওরা তিনজন যেন পিতৃহারা হয়ে গেলো।

এদিকে মিজান সরকার নেই। ওদিকে আয়-রোজগার ভাল বলে কামাল বাড়ি থেকে মা-দুই বোন ও এক ভাইকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে। সে কী করবে বুঝতে পারছিলো না। তখন টেরা মনির একদিন বললো, “তুমিই আমাগো বস হও না কামাল ভাই! কাজ তো আগেও মোরা করতাম, এহোনও মোরা করমু।” কাইল্যা শাজাহানও টেরা মনিরের কথায় সায় দিলো।
কামাল ওদের থামিয়ে দিয়ে বলেছিলো, “আরে তোরা বুঝবি না। উপরে কেউ ভদ্র গোছের না থাকলে এসব কামে ধরা খাইলে ছাড়াইবো কেডা?”
তখন শাজাহান বুদ্ধি দিলো, “আরে, আমাগো লগে তো পুলিশের হাত আছেই। ওগো ভাগডা এট্টু বড় কইর‍্যা দেলে, ওরাই বাঁচাইবে।”
“তোর মাথায় কিছু নাইক্কা। পুলিশেরে বিশ্বাস করতে নাই।” শাজাহানকে ধমক দিয়েছিলো কামাল।

শাজাহান, মনিরের কথামতো ওরা আগের কাজেই লেগে গেছিলো। পুলিশের সাথে সম্পর্ক রেখে কান-কাটা কামাল নিজেই ছিনতাইকারী বাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করে। বর্তমানে দলে বরিশাল থেকে আসা আরো পাঁচটি ছেলেকে জুটিয়েছে। ঢাকার অপরাধজগতে আঞ্চলিকতাকে খুৃব প্রাধান্য দেয়া হয়, এক এলাকার লোক আরেক এলাকার লোককে বিশ্বাস করতে চায় না। এজন্যই সে বেছে বেছে বরিশালের ছেলেদের খুঁজে বের করেছে। আজ তাদের একটি ছেলে একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ও হাজার দুয়েক টাকাসহ একটা মানিব্যাগ ছিনতাই করে কামালের কাছে জমা দেয়। জমা দেয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই ভোদাই বাবুলের ফোন আসে। ভোদাই জানায় যে, কামালের লোক যারে ছিনতাই করেছে, সে ভোদাই বাবুলের আত্মীয়। সে পনের মিনিটের মধ্যে আসছে, জিনিসগুলো যেন অক্ষত থাকে।”

ভোদাইর ফোন পেয়ে তার মাথাটা গরম হয়ে যায়। এদিকে পাঁচটি ছেলের মধ্যে একটি জনতার হাতে ধোলাই খেয়েছে। কাছেই পুলিশ ছিলো বলে তারা ওকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। এজন্য পুলিশকে আলাদাভাবে তিন হাজার টাকা দিতে হয়েছে; একজন আবার টাকায় সন্তুষ্ট না, তাকে নারী দিতে হবে কাল। আজ রাতে ডিউটি আছে, নইলে আজই দিতে হতো।

সব মিলে প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ তার। এরই মধ্যে ভোদাই সব মালামাল ফেরত নিতে এসেছে। এটা অবশ্য ছিনতাই-এর মূলনীতি। কামাল না দিয়েও পারবে না। জিনিসপত্র ফেরতে দিলেও মূলনীতি উপেক্ষা করেই ভোদাই বাবুলের ওপর রেগে গিয়ে যা-তা বলেছিলো সে। ভোদাই বাবুল মালপত্র নিয়ে সিএনজিতে উঠতে উঠতে তাকে গালি ছুড়ে দিয়েছিলো, “শালা মালাউন!”

মালাউন গালি দেয়ার জের ধরে একটু আগে ওরা তিনজন ভোদাই বাবুলকে খুন করে এসেছে। খুন করতে অবশ্য তেমন বেগ পেতে হয় নি। ভোদাইকে ফোন দিয়ে বলেছিলো, “ভাই, দুপুরে মোগো একটা পোলা গণধোলাই খাওয়ায় মেজাজটা বিলা অইয়া আছেলে। মুই খুবই দুক্ষিতো। যদি কিছু মোনে না করেন, সন্ধ্যায় এদিকে আইয়েন, একটা জব্বর মাগী যোগাড় করছি, আমনে আর মুই হারা রাত্তির খাইলেও ফুরাইবে না।” ভোদাই একাই এসেছিলো। ওরা দু’জনে সিএনজি করে বুড়িগঙ্গার পাড়ে গিয়ে সিএনজি ছেড়ে দিয়েছিলো। গাঁজা টানার নাম করে ভোদাইকে এক অন্ধকার স্থানে নিয়ে গিয়েছিলো কামাল, সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলো মনির ও শাজাহান। যাওয়ার সাথে সাথে কোন কথা না বলেই পেটের মধ্যেে ছুড়ি দিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিলো তারা। মৃত্যু নিশ্চিত করে জিহ্বাটা কেটে নিয়ে আসে কামাল। যে-জিহ্বা দিয়ে তাকে মালাউন বলেছে, সে জিহ্বা ওর সাথে থাকুক, এটা কামাল চায় না। আগে থাকতে তিন সেট পোশাকও রেডি করে রেখেছিলো। সবার জামা-প্যান্ট খুলে একটা ব্যাগের মধ্যে ভরে নতুন পোশাক পরে ফিরে এসেছে তারা। এখন গাঁজা টানছে সব ভুলে। যে ছেলেটাকে বাংলা মদ আনতে পাঠানো হয়েছিলো, সে চলে এসেছে। এখন তিনজনে মিলে বাংলা মদ গিলছে, আর মাঝে মাঝে গাঁজার দম। টেরা মনির মোবাইলে গান ছেড়ে দিয়েছে, “ও টুনির মা, তোমার টুনি কথা শোনে না……..”

“বস, বস্তির ঐ শেষ মাথায় টুনি নামে একটা মালাউন মাইয়া আছে। ঐ যে-মাইয়াডা তোমার বুইন সালমার লগে একসাথে স্কুলে যায়।” নেশার ঘোরে নাকি অন্যকিছুতে শাজাহানের চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে ওঠে।
“তো, কী অইছে হেই মাইয়াডার?” কান-কাটা কামালের নিঃস্পৃহ জিজ্ঞাসা।
“হেই মাইয়াডার নানায় মইর‍্যা গেছে। ওর মায় হের লাইগ্যা রংপুরে গ্যাছে। বাসায় খালি ঐ মাইয়াডা আর হের ছোট্ট একটা ভাই।” শাজাহানের চোখ আরো উজ্জ্বল হয়।
“তো! মোরা কী হরুম? পাহাড়া দিমু যাইয়া?” কামাল ধমক দেয়।
শাজাহান মনিরের দিকে তাকায়, “মোগো বসে এহোনো দুধ খায়। কিচ্ছু বোঝে না। মনির‍্যা, তুই বসেরে বুঝাইয়া ক। মোর কতোদিনের হপ্পন একটা মালাউন মাইয়ারে…….”

মনির কামালকে সব বুঝিয়ে দেয়। রাইত বারোটার দিকে বস্তির সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়বে, তখন ওর চোখ-মুখ বেঁধে ওকে তুলে নেয়া হবে। ওদের ঘরের যা-অবস্থা তাতে ঢোকা কোন ব্যাপারই হবে না। পূর্ব পাশ দিয়ে একটা হোগলা পাতার মাদুর টানিয়ে তার ওপরে পলিথিন দিয়ে রাখা। তুলে একটু ওপাশে নিলেই মতিন রিক্সাওয়ালার ঘর। আজ দশ দিন হতে চললো মতিনের কোন খোঁজ নেই। ঘরটাও ভাল আছে। শাজাহান ও মনির এগুলো আগেই চেক করে এসেছে। মালাউন ঘরের মেয়ে হলেও বসের অনুমতি ছাড়া বসের বোনের বান্ধবীরে ধর্ষন করা যুক্তিসংগত হবে না বলেই মনে করেছিলো তারা। আজ বস যেহেতু মালাউন গালিতে একজনরে খুনই করে ফেলেছে, সুতরাং বসকে জাগিয়ে তোলার আজই মোক্ষম সময়।

রাত বারোটায় সবাই মদে চুর। কথামতো তারা টুনিকে চোখমুখ বেঁধে মতিনের ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষন করে। একেকজন দু’বার করে করার পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে টুনি। ওরা ওকে সেখানে ফেলে এসে যার যার বাড়িতে ঘুমাতে যায়। ফেরার আগে টুনির চোখ-মুখ খুলে দিয়ে যায় ওরা। একটা মালাউন মেয়েকে ধর্ষন করতে পেরে তারা খুবই উল্লসিত বোধ করে।

সকালে অন্যদের হৈচৈয়ে ঘুম ভাঙে কামালের। ঘুমের মধ্যেই সে বুঝতে পারে তার বোন সালমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সালমা নাকি রাতে টুনির কাছে ঘুমাতে গিয়েছিলো।
দ্রুত লাফ দিয়ে ওঠে কামাল। তার মাথায় কিছু খেলে না। তবে কি সে তার নিজের বোন সালমাকেই……!

সে কিছু ভাবতে পারে না। সে যেন মৃত।

টুনিও এসে গেছে। টুনি জানায়, রাত বারোটার দিকে সে উঠে টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখে সালমা নেই। সে ভেবেছে সালমা বোধ হয় বাসায় ফিরে এসেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তাই সে সালমাকে বকা দিতে এসেছে। এসে শোনে যে, সালমা বাসায় আসে নি।

কামাল নির্বাক হয়ে পড়ে থাকে। সে কী করবে? সে কি বলবে যে, সালমা মতিনের ঘরে আছে? সে ধীর পায়ে মতিনের ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। সালমাকে তুলে ঘরের দিকে নিয়ে আসে।

সবাই ছুটে আসে। সিএনজি করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বোনকে। ডাক্তারের চিকিৎসায় জ্ঞান ফেরে সালমার। খবরটি শুনে বাসায় ফিরে যায় কামাল। বাসায় ফিরে স্নান করে পাঞ্জাবি ও টুপি বের করে মসজিদের দিকে যায়।

নামাজ পড়তে বসে সে টের পায় যে, সে সুরা ভুলে গিয়েছে। নামাজের দোয়া কিছু মনে আসে না। সেজদা দিতে গিয়ে তার চোখ দিয়ে কেবলই জল বেরুতে থাকে। সব ভুলে গিয়ে সে কেবলই বলতে থাকে, “হে আল্লাহ, আমাকে মৃত্যু দাও; আমাকে মৃত্যু দাও।”

নামাজ থেকে বেরিয়ে সে চলে যায় মতিনের ঘরে। সালমাকে যেখানে ধর্ষন করেছিলো সে, সেই জায়গাটা দেখে। সালমার যোনি ফেটে বের হওয়া রক্তগুলো শুকিয়ে চিটচিটে হয়ে গেছে। আরো কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখে কামাল। তারপর পাঞ্জাবির পকেট থেকে পিস্তলটা বের করে কানের পাশ দিয়ে মাথায় ঠেকায়। কয়েক সেকেন্ড পরেই একটা শব্দ শোনা যায়। বুম।

14 Comments

  1. Nishad
  2. Ranjit Paul
  3. Humayun Kabir
  4. amartya

Reply Cancel Reply